,

সমাধান হয়নি :: দাবিতে অনড় চা শ্রমিকরা

সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর : দফায় দফায় বৈঠকে ও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে এখন পর্যন্ত  কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে সারাদেশে প্রতিদিন কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক  ইউনিয়ন। তাদের দাবি  ১২০ টাকা মজুরিতে দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে তাঁরা অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন। মজুরি বৃদ্ধি না হলে তারা আন্দোলন করে যাবেন। শ্রমিকদের টানা এই কর্মবিরতির কারণে হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগানে কোটি কোটি টাকার কাঁচা চা-পাতা নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাগান মালিকরা। মালিক পক্ষ আংশিক মজুরি বৃদ্ধি করতে চাইলেও শ্রমিকরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার আন্দোলন  অব্যাহত রেখেছেন চা বাগানের শ্রমিকরা। বাগানে বাগানে করছেন বিক্ষোভ, মিছিল ও কর্মবিরতি।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পালন এ প্রতিনিধিকে বলেন, গত বুধবার (১৭ আগস্ট) শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চা সংসদ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। চা বাগান কোম্পানী মালিক পক্ষ ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকা দৈনিক মজুরি দিতে চায় কিন্তু চা বাগান শ্রমিকরা মানেনি। তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। তাদেরকে ছাড় দিতে হলে কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চুনারুঘাট উপজেলার দাড়াগাঁও চা বাগানের সভাপতি প্রেমলাল আহির বলেন, প্রতিদিন একজন চা শ্রমিককে ২৪ কেজি কাঁচা চা-পাতা সংগ্রহ করতে হয়। এর বিনিময়ে দৈনিক ১২০ টাকা হাজিরা পান। এর অতিরিক্ত কাঁচা চা-পাতা প্রতি কেজি চাপাতার জন্য ৪ টাকা ৫০ পয়সা করে দেওয়া  হয়। চা-পাতা কম হলে প্রতি কেজিতে ৫টাকা করে কর্তন করা হয়। তিনি আরো বলেন, একেকজন চা শ্রমিক বর্তমান মৌসুমে দৈনিক ৫০ থেকে ১শ কেজি পর্যন্ত কাঁচা চা-পাতা তুলতে পারেন। অথচ চা মৌসুম ছাড়া টার্গেটই অর্জন করা হয় না। মাত্র ১২০ টাকায় তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই তাদের দাবি পূরণের লক্ষ্যে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর